*স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হলে কি কি সুবিধার প্রাপ্তি হয়*
(১) ঘুমের মধ্যে কোনো বাধাবিঘ্ন আসে না। যেমন, শুনছো লাইট বন্ধ করো, পাখা বন্ধ করো, চাদরটা এদিকে দাও, এদিকে মুখ করো ইত্যাদি, এই ধরণের কোনও কথা হয় না !
(২) টাকা বাঁচে। ঝগড়া চলাকালীন সময়ে কোনো খরচ করতে হয় না! কোনো সংসারের কাজ করতে হয় না !
(৩) টেনশন থেকে মুক্তি। কথা বন্ধ থাকার দরুন খিচখিচ হয় না আর স্বামী টেনশন থেকে মুক্ত থাকে।
(৪) আত্মনির্ভরতা আসে। যে কাজ নিজে করতে পারি সেই কাজ করি স্ত্রী'র অপেক্ষা না করে! ঝগড়া চলাকালীন সময়ে সেই সব ছোটমোট কাজ যেমন জল নিজে নিয়ে খাওয়া, চান করে নিজে কাপড় নিয়ে পরা, নিজে চা তৈরী করে খাওয়া ইত্যাদি!
(৫) অফিসের কাজে ব্যাঘাত হয় না! ঝগড়া চলাকালীন সময়ে স্ত্রীর অযথা কল যেমন "ওগো কি করছো", "আজকে ভীষণ গরম", "একলা একলা মন লাগছেনা", ইত্যাদি না আসার জন্য আপনি নিজের কাজ মনোযোগ সহকারে করতে পারবেন !
(৬) তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার চিন্তা থেকে মুক্তি : বেশির ভাগ স্বামীদের অফিসে ছুটি হওয়ার সাথেসাথেই ফোন আসতে শুরু করে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবার জন্য! ঝগড়া চলাকালীন সময়ে এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়!
(৭) আপনার মূল্য বৃদ্ধি করে : এটা মনোবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। যে জিনিসটার অভাব হতে থাকে তার দাম বাড়ে! যেমন বাজারে এখন পেঁয়াজ কম আর তার দাম তাই বেশি। আপনার উপস্থিতি কম হলে স্ত্রী আপনার মূল্য অনুভব করতে পারবে! কিন্তু একটু সাবধান, বিনা পেঁয়াজে রান্নাও হয়।
(৮) ভালোবাসা বাড়ে : স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াতে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়, কেননা দেখা গিয়েছে যে এক পশলা বৃষ্টির পর আবহাওয়া মনোরম হয়ে যায়! এ ছাড়া আরও লাভ আছে কিন্তু সময় অভাবে লিখতে পারছিনা।
*এই পরিপ্রেক্ষিতে আসুন আমরা সবাই মাসে একবার করে বাড়িতে ঝগড়া শুরু করি। কিন্তু, সাবধান এ রহস্য যেন প্রকাশ না হয়, আর ঝগড়া আরম্ভ করার জন্য কোনো ফর্মুলা নাই। তবে একটা প্রবাদ আছে,* _*দুষ্টের ছলনার অভাব হয় না*_
*বিশেষ নির্দেশ*
১) ঝুঁকি এবং তার সম্ভাব্য ফলাফলের জন্য লেখক দায়ী নয় তবে যুদ্ধ বিরতির পর একটা পার্টি তো হতেই পারে।
২)পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্য লেখক দায়ী নয়।
৩] বীর এবং বীরাঙ্গনারা নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী যুদ্ধ করবেন। অহেতুক নিজের ক্ষতি করবেন না।
No comments:
Post a Comment